“ছাত্রদের বিরুদ্ধে যাওয়া আওয়ামীলীগ মনোনীত” চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ শাহাদাৎ হোসেন এখনো বহাল তবিয়তে।।
জানাযায়, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মণি ও তার ভাই ডাঃ জে আর ওয়াদুদ টিপুর হস্তক্ষেপে ডাঃ মোঃ শাহাদাত হোসেন ২০২১ সালের ২১ নভেম্বর চাঁদপুরের সিভিল সার্জন হিসেবে যোগদান করেন। তারপর থেকেই তিনি রাজনৈতিক প্রভাবকে পুঁজি করে বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানে নিজেকে তার নিজ এলাকার ছাত্রলীগের সাবেক নেতা হিসেবে তার পরিচয় তুলে ধরতেন। তিনি আওয়ামীলীগ মন্ত্রীর মাধ্যমে সিভিল সার্জন হিসেবে পদোন্নতি হওয়ায় কাজের ক্ষেত্রে কোন স্বাস্থ্য বিভাগের তেমন কাউকেই তিনি তোয়াক্কা করতেন না।তৎকালীন আওয়ামী সরকারের সময় তিনি চাঁদপুরের স্বাস্থ্য বিভাগকে তার মুঠোয় রেখেছিলেন।তিনি চাঁদপুরের স্বাস্থ্য বিভাগে একক রাজত্ব কায়েম করেছেন।
এমনকি চাঁদপুরে যেকোনো স্বাস্থ্য বিষয়ক অনুষ্ঠানসহ সামাজিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও তিনি অধিকাংশ সংবাদকর্মীদের কাছেও নিজেকে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে পরিচয় দিতেন।
এ নিয়ে বেশ কয়েকবার তৎকালীন সময়ে চাঁদপুরের সংবাদ কর্মীদের সাথে ও তার বাগ-বিতণ্ডার সৃষ্টি হয়েছে।
সেই ছাত্রলীগ নেতা
আওয়ামীলীগের নিয়োগ প্রাপ্ত, চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ শাহাদাৎ হোসেন।
এখনো বহাল তবিয়তে নিজ দায়িত্বে রয়েছেন।
নিয়োগের পর থেকে সরকারি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিজেকে তার এলাকার সাবেক ছাত্রলীগের ক্যাডার হিসেবে ও নিজের পরিচয় তুলে ধরতেন।
এছাড়াও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধেও তিনি অনেক কথা বলেছেন। তার নামীয় নিজের ফেসবুক আইডিতে তিনি অসংখ্য পোস্ট করেছেন। অবশ্য ৫ আগস্টে আন্দোলনের বিজয় হওয়ার পর তার পোস্টগুলো তিনি তুলে দিয়েছেন।
এদিকে ৫ আগস্টের পরে পদত্যাগের দাবি তুলে সারা দেশের সাথে চাঁদপুরেও বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সংস্কার চালিয়েছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা। কিন্তু চাঁদপুরের এই বিতর্কিত ও সমালোচিত সিভিল সার্জন ডাঃ শাহাদাৎ হোসেন আওয়ামীলীগের মনোনীত ও বারংবার নিজেকে ছাত্রলীগ নেতা পরিচয় দিয়েও আজো বহাল তবিয়তে তার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন।
তাই সচেতন মহলের দাবি পুরো দেশের সাথে চাঁদপুরের এই সমালোচিত সিভিল সার্জনের দ্রুত পদত্যাগ চান চাঁদপুরের সচেতন মহোল।