পটুয়াখালীতে বিএনপির জনসমাবেশ জনসমুদ্রে পরিনত
পটুয়াখালী, প্রতিনিধি।। জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন উপলক্ষে পটুয়াখালী সদর উপজেলা বিএনপির আয়োজনে জনসমাবেশ জনসমুদ্রে পরিনত হয়েছে।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) বেলা ১১ টায় পটুয়াখালী শহরের শহীদ আলাউদ্দিন শিশু পার্কে নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে বিএনপির জনসমাবেশ জনসমুদ্রে রুপ নেয়।
সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মাহবুব আলমের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট আব্দুল জলিল, সহ-সভাপতি এ্যাড. তোফাজ্জেল হোসেন এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. ফারুক হোসেনের সঞ্চালনায় জনসমুদ্রে রূপ নেয়া জনসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্নিং কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রিয় ওলামাদলের সাবেক মহাসচিব মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হক। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব আব্দুর রশিদ চুন্নু মিয়া। প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংসু সরকার কুট্টি। বিশেষ বক্তা ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য ও পটুয়াখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র মোশতাক আহমেদ পিনু। আরও বক্তৃতা করেন মাদারবুনিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব আবু হানিফ, আউলিয়াপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আ ন ম মনিরুজ্জামান নাইম, বদরপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান, লাউকাঠি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল মান্নান, লোহালিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. কামাল মৃধা, ইটবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কাজী শাহ আলম, ভুরিয়া ইউনিয়ন বিএনপির আহসান হাবিব, কালিকাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সোহেল মৃধা ও মরিচবুনিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান কালডি।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, গত পনেরো বছরে পটুয়াখালীর বিএনপির অফিস ১৪ বার ভেঙ্গে চুরমার করেছে, এমনকি অফিসের ফ্যানের পাখাগুলোও চুরি করে নিয়ে গেছে। আমরা রাস্তায় নামতে পারিনি, ঘরে ঘুমাতে পারিনি, সন্তান পরিবার, আত্মীয়স্বজনদের খোজ নিতে পারিনি, দলের সাবেক এমপি শাহজাহান খানকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীরের নেতৃত্বে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমরা এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের বিচার করবো। এ হত্যা ও নির্যাতনের পরেও আমরা জেলার মধ্যে ছিলাম কিন্তু দেশ থেকে আমাদের কেউ পালিয়ে যায়নি। অথচ শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে। দলের সদস্যদের কথা তিনি চিন্তা করেননি। বক্তারা বলেন, পটুয়াখালী শান্তির শহর। আমরা সম্মিলিতভাবে এই শহরকে শান্তিপ্রিয় শহর বানিয়ে রাখবো।
নেতাকর্মীরা সকাল থেকে শহর এবং সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন থেকে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে জনসভাস্থলে উপস্থিত হন। এসময় কারও হাতে ধানের ছড়া, কারো হাতে শহীদ জিয়াউর রহমানের প্লাকার্ড ছিলো। এছাড়া খালেদা জিয়ার প্রতিরুপ সাজিয়ে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে গোটা শহর মিছিলে মিছিলে আলোড়ন সৃষ্টি করে।
জনসভায় সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, সেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল, মৎস্য দল ও কৃষক দলের হাজার হাজার নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা উপস্থিত হয়ে জনসমাবেশকে জনসমুদ্রে পরিনত করেন।