গতকাল ১৭ ই জানুয়ারি শুক্রবার, ঠিক বিকেল চারটায়, নিউ টাউন এর সংযোগস্থলে, নজরুল তীর্থে, বরুন দাস পরিচালিত এবং সত্য রঞ্জন (সোমা) শিল দ্বারা উপস্থাপিত , কৃষ্ণ সিনেমা ও বিনোদন দ্বারা প্রযোজিত, একটি আদিবাসী মেয়ের গল্প অবলম্বনে, দর্শকদের মন কাড়া ছবি ….. ঝুমুর ।
ছবিটি আজ ১৪ টি প্রেক্ষাগৃহে সাড়ম্বরে শুরু হয়েছে, ছবিটির শুভ সূচনা আগে, সকল অভিনেতা-অভিনেত্রী শিশু শিল্পী, ডিরেক্টর, মিউজিসিয়ান, সংগীত শিল্পী সহ সবার উপস্থিতিতে একটি কেক কাটার মধ্য দিয়ে ছবিটির শুভ সূচনা ও সেলিব্রেট করলেন।
ছবিটিতে অভিনয় করেছেন, অভিনেতা জন, রাজশ্রী, লাবনী সরকার, খরাজ মুখার্জি, মৌসুমী সাহা, রাজেশ শর্মা, শিশু শিল্পী বৃথা ঘোষ অন্যান্য কলাকুশলীরা।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলার সিনেমা জগতের অভিনেত্রী ও নায়িকা শ্রাবন্তী চ্যাটার্জী এবং উপস্থিত ছিলেন দেবিকা মুখার্জি।।
ছবিটি দেখার জন্য দুপুর থেকেই ভীর জমতে থাকে এই হলটিতে, সুন্দর একটি গল্পকে তুলে ধরেছেন পরিচালক, যার মধ্য দিয়ে আদিবাসী সমাজে, একটি মেয়ের জীবন কিভাবে গরে ওঠে, এবং পরিবারের লোকেরা প্রতিটা দিন ও প্রতিটা মুহূর্ত কিভাবে কাটায় তার বর্ণনা উঠে এসেছে ছবির মধ্য দিয়ে তুলে ধরেছেন, তবে ছবিটি না দেখলে একটা আকাঙ্ক্ষা মনে রয়ে যাবে, ঝুমুর নামকরণ কেন, কি আছে ছবিটার মধ্যে, তাই দেখতে হলে সবাইকে আসতে হবে হল গুলিতে।
যে সকল অতিথি উপস্থিত ছিলেন, এবং যাহারা অভিনয় করেছেন, দুটো কথা বারবার তুলে ধরেছেন, একটি হলো অন্যান্য সিনেমা থেকে এটা সম্পূর্ণ আলাদা এবং কিছুটা বিজ্ঞানভিত্তিক, অন্যদিকে জানালেন আমরা পরিশ্রম দিয়ে তৈরি করি ছবিটি, এবং স্বনামধন্য অভিনেতা অভিনেত্রীদের সাথে অভিনয় করতে পেরেছি, দর্শকরা দেখে বিচার করবে এবং তার মান দেবে। তাদের কাছে কতটা ভালো লাগলো গল্পটি দেখে, তবেই একটি পরিচালক আবার নতুন ছবি তৈরি করতে উৎসাহ পাবে, এবং নতুন নতুন শিল্পীরা কাজ পাবে, আর সাথে সাথে জানালেন, মাঝে বাংলা সিনেমা প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছিল, কিন্তু আস্তে আস্তে সিনেমা প্রেমীরা আবার বাংলা সিনেমা কে কদর দিয়েছে, নতুন নতুন ছবি দেখছেন, এবং পরিচালকরা উৎসাহ পাচ্ছেন নতুন সিনেমা বানাতে। তাই সকল দর্শকদের উদ্দেশ্যে ও সিনেমা প্রেমীদের উদ্দেশ্যে, একটা কথাই বলবো, আপনারা বাংলা সিনেমা গুলি দেখুন, গুণমান বিচার করুন, আপনাদের যদি গল্পগুলি ভালো লাগে, আপনাদের ভালোলাগার উপরেই তৈরি হবে আরও একটি নতুন সিনেমা, উৎসাহ পাবে কলা কুশলী থেকে শুরু করে পরিচালক ও প্রোডিউসাররা। নতুন গল্প নিয়ে আসবে।
রিপোর্টার , সমরেশ রায় ও শম্পা দাস, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ