
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন মানবতাবিরোধীদের বিচার করে নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে হবে। স্যখ্যানুপাতিক নিরপেক্ষ নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায় বাংলাদেশ জামায়েতে ইসলামী
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) ভোলা সরকারি বিদ্যালয় মাঠে ভোলা জেলা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আরো বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা গত ১৬/ ১৭ বছর আয়না ঘর তৈরী করে,ছাত্রলীগ, যুবলীগ, পুলিশ লীগের মাধ্যমে ঘুম,খুন,অত্যাচার নির্যাতন করে মানুষের গনতান্ত্রিক অধিকার নস্ট করে দেশটাকে নড়কে পরিনত করেছিল।কিন্তু মহান আল্লাহ কৃপায় ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে খুনি হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। পালিয়ে গিয়েও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। ভারতে বসেও বাংলাদেশ নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র করছে ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোষররা। সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হল আনসার বিদ্রোহ, বিচারিক ক্যু,সচিবালয়ে আগুন, হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা বাজানোর চেষ্টা করছে। একটি দলের বক্তব্যেও ফ্যাসিবাদের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। তারা এখন ফ্যাসিবাদের ভাষায় কথা বলছে। যে নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য জাতি রক্ত দিয়েছে হাজার হাজার তাজা প্রাণ দিয়েছেন। যাদের আত্বহুতির বিনিময়ে খুনি হাসিনা পালিয়ে গেছে তাদের নিকট আমাদের দায় আছে।তারা আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে,দেশটাকে সেই স্বপ্নের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য।তা নাহলে, নতুন কোনো নৈরাজ্য আবার দেশকে পিছিয়ে দেয়ার চেস্টা করবে।ষড়যন্ত্র কারীদের হুশিয়ারী দিয়ে বলেন কোন ষড়যন্ত্র এ দেশের মানুষ মানে নাই মানবে না। হাসিনা তুমি নাকি হঠাৎ করে দেশে ডুকে পরবে, ডুকে দেখ তোমার বিচার কি হয়।তোমার বিচারিক ট্রাইবুনাল এখনো আছে। তার মাধ্যমে তোমার বিচার হবে।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। নিরপেক্ষ নির্বাচন হলেই জামাত ইসলামের জন্য সুবিধা কারন জামাতের টাকা পয়সা নাই। তাই আমরা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই।পতিত গজবি সরকার দেশের সকল প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। বিভিন্ন উন্নয়নের নামে দেশের টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচার করেছে।তাই নির্বাচনের আগে এই ফ্যাসিবাদী খুনী হাসিনার অপরাধের বিচার করে তারপর নির্বাচন চাই। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান গুলোকে সংস্কার করে ছয় মাসের মধ্যে সংস্কার কমিশনের সাথে নিয়ে সংস্কার করে নির্বাচন দেয়া যেতে পারে। দুই,চার, ছয় মাস আগে পরে নির্বাচন কোন গুরুত্বপূর্ণ নয় গুরুত্বপূর্ণ হলো নির্বাচন নিরপেক্ষ হওয়া। তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সময় দিতে হবে।তারাও চেস্টা করছে কিন্তু ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে উঠতে কস্ট হচ্ছে। আমরা সকলে তাদের সহযোগিতা করতে হবে যাতে সকল বাধা উপেক্ষা করে আগামীতে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে পারে। যাতে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করে মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলন হয়। তারপর আমাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ কল্যাণ রাষ্ট্র হবে, যার ভিত্তি হবে আল কোরআন।তিনি আরো বলেন ভোলার গ্যাস ভোলার মানুষ আগে পাবে তারপর অন্যরা পাবে,ভোলা বরিশাল সেতু ভোলাবাসীর অধিকার। অন্তবর্তীকালীন সরকাকে বলব ভোলাবাসীর ন্যায্য দাবী পুরন করে দিন।
ভোলা জেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য মাস্টার মোঃ জাকির হোসাইন এর সভাপতিত্বে ভোলা জেলা জামায়েতে ইসলামী সেক্রেটারী মোঃ হারুনুর রশিদের সঞ্চালনায় ঐতিহাসিক এ অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে সহকারী জেনারেল বরিশাল অঞ্চল পরিচালক এ্যাড. মুয়া্যযম হোসাইন হেলাল, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও বরিশাল মহানগরীর আমির অধ্যক্ষ জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর,কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও সদস্য সচিব ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ,কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা বরিশাল অঞ্চল টিম সদস্য এ কে এম ফকরুদ্দিন খান রাজি,জামায়েতে ইসলামির গবেষণা সদস্য মাওঃ ফজলুল করিম, সাবেক ভোলা জেলা আমির, বরিশাল অঞ্চল টিম সদস্য মোস্তফা কামাল,বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী এ্যাডঃ পরভেজ হোসেন,ঢাকা মহানগর শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের সেক্রেটারী মোঃ মহিবুল্লাহ, ভোলা পৌরসভা আমির মোঃ জামাল উদ্দিন, চরফ্যাশন উপজেলা আমির অধ্যক্ষ শরিফ হোসাইন,দৌলতখান উপজেলা আমির মাওলানা অলিউল্লাহ কবির, লালমোহন উপজেলা আমির মাওলানা আকতার উল্লাহ, বোরহানউদ্দিন উপজেলায় আমির অধ্যাপক মাওঃ মাকসুদুর রহমান। উল্লেখ বিগত ১৮ বছর পর ভোলায় এ কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।সুশৃঙ্খলঐতিহাসিক এ সম্মেলনে ভোলা জেলার সকল উপজেলা থেকে লক্ষাধিক মানুষের অংশগ্রহণে উজ্জীবিত কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় আসার পথে এক কর্মী স্ট্রোক করে ইন্তেকাল করেন। তার রুহেদর মাগফেরাত কামনা করা হয়েছে।