
গৌরনদী প্রতিনিধি:: দখল ও দূষণের কবেল বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী টরকী বন্দরের দুটি খাল। একটি টরকী বন্দর লঞ্চঘাট হইতে পশ্চিমে বাশাইল প্রায় ১৫ কিলো মিটার যে খালটি বয়ে গেছে পাশ্চবর্তী আগৈলঝাড়া উপজেলায়। ওপরটি টরকী বন্দর লঞ্চ ঘাট হইতে সাউদের খাল চলে গেছে প্রায় তিন কিলো মিটার।
খালে পানি না থাকায় প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমিতে কৃষি কাজে ব্যঘাত ঘটছে। সেচের পানি কৃষকরা না পাওয়ায় ধানের জমিতে করছেন ঘর-বাড়ি পানের বরজসহ কলা বাগান।
প্রায় দুই যুগ ধরে এভাবে আস্তে আস্তে ভূমি দস্যূরা যে যার মত করে খালের পাড়ে প্রথমে ময়লা ফেলে টোং দোকান করতে দেখা যায়। কেউ আবার খালের ভিতরে করেছেন বৃক্ষরোপন, পাকা ভবন দোকানসহ নানান অবৈধ স্থাপনা। দুটি খালই ভরাট করে নিয়েছে ভূমী দস্যূরা। এতে একটু বৃষ্টি হইলেই টরকী বন্দরে দেখা দেয় জলা বদ্ধতা। টরকী বন্দর তলিয়ে যায় ড্রেনের ময়লা পানিতে।
এই জলা বদ্ধাতার নিরাষনে গত দুই মাসের পর্যবেক্ষণে গৌরনদী উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি রাজীব হোসেন টরকী বন্দরের ব্যবসায়ীদের সাথে নিয়ে খালের দুই পাড় উচ্ছেদ অভিযানে নেমেছেন। আজ ২৫ জানুয়ারি রোজ শনিবার সকালে অভিযান চালানোর কথা থাকলেও মানবিক কারেন দুই দিন সময় দিয়েছে প্রশাসন । যদি এই দুই দিনে নিজেদের দোকান বা স্থাপনা ভেঙ্গে না নেয় তাহলে ২৭ জানুয়ারি রোজ সোমবার উপজেলা প্রশাসন উচ্ছেদ অভিযান চালাবে।