মোঃ বাদশা প্রমানিক নীলফামারী প্রতিনিধিঃডোমারে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীর উপর হামলার ঘটনায় গ্রেফতার হলো নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা হৃদয়। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিকে রাতের বেলা মারপিটের অভিযোগে গ্রেফতার হন ডোমার উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মোঃ হৃদয়। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি ফজলে রাব্বি (২২)-কে হামলার অভিযোগে ডোমার উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মোঃ হৃদয় (২৫) কে রাতের বেলা আটক করে পুলিশ।
তার কঠোর শাস্তি দাবিতে শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে এবং তোমার উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক এক ঘন্টা অবরোধ করে রাখে।এ সময় ওই এলাকায় প্রচুর যানজট সৃষ্টি হয় এবং সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়ে। সড়ক অবরোধকালে ছাত্র প্রতিনিধিরা বলেন, ফজলে রাব্বি জুলাই আন্দোলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়ের অন্যতম একজন সহযোগী।
তারউপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগের নেতা হৃদয়। সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের কাছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নেই। প্রশাসনের কাছে তাকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে,আইনের আওতায় এনে,সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচার দাবি করা হয়। অবশেষে শিক্ষার্থীরে দাবির মুখে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মোঃ হৃদয়কে রাতে গ্রেফতার করে ডোমার থানা পুলিশ। জানা যায়, অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা মো. হৃদয় ডোমার উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের চান্দিনাপাড়া এলাকার ছাবেদ আলীর ছেলে ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ডোমার উপজেলার সহ-সভাপতি।আহত বৈষম্য বিরোধী ছাত্রনেতা ফজলে রাব্বি ডোমার পৌরসভার কাজীপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল মাবুদের ছেলে। বর্তমানে রাব্বি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আহত ছাত্রনেতা ফজলে রাব্বি জানায়, গত রাত আড়াই টার দিকে নাইট টুর্নামেন্ট শেষে পৌরসভা এলাকার কাজীপাড়ায় নিজ বাড়ি ফেরার পথে কোনো কারন ছাড়াই অতর্কিত আক্রমণ করে ছাত্রলীগ সহ-সভাপতির হৃদয়। এ সময় হাতে থাকা লাঠি দিয়ে পায়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করে। এ সময় তার চিৎকার শুনে এলাকাবাসী জড়ো হলে লোকজন দেখে পালিয়ে যায় হৃদয়। বিনা কারনে কেনো হামলার শিকার হলেন এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীর কঠিন শাস্তি দাবি করেন ফজলে রাব্বি। ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ আরিফুল ইসলাম আটকের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমরা খবর পাওয়ামাত্রই তাৎক্ষণিকভাবে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সেই নেতাকে রাতেই গ্রেফতার করতে সমর্থ হই। আগামীকাল জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হবে। বিঃ দ্রঃ হৃদয়ের পরিবার মন্তব্য করেছেন,দীর্ঘদিন ধরে হৃদয়ের পরিবারের এক সদস্যকে উত্ত্যক্ত করছিলেন ফজলে রাব্বি। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই বিরোধের সূচনা হতে পারে।