মোঃ বাদশা প্রামানিক নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারীতে কানিয়াল খাতা দ্বি-মুখি মাদ্রাসার দাখিল পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্রে বিভিন্ন ধরনের ভুল থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আজ সোমবার (৭ এপ্রিল) কানিয়াল খাতা দ্বি-মুখি দাখিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায় ভুলে ভরা প্রবেশপত্র নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। তাদের প্রবেশপত্রে কারো নামের বানান ভুল, কারো জন্ম তারিখ ভুল, কারো প্রবেশপত্রে অন্যজনের ছবি। এ সময় শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠান প্রধানের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেন। তারা অভিযোগ করেন প্রতিষ্ঠান প্রধানের গাফিলতির জন্য আজকে ৩৪জন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা দেওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক পরীক্ষার মধ্যে এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষা অন্যতম। পরীক্ষাকে ঘিরে পরীক্ষার্থীর থাকে ব্যাপক প্রস্তুতি। টানা দুই বছরের প্রচেষ্টায় নিজেদেরকে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু নীলফামারীর কানিয়াল খাতা দ্বি-মূখী দাখিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠান প্রধানের অবহেলার কারণে ৩৪ শিক্ষার্থীর দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

লিপন ইসলাম নামে এক পরীক্ষার্থী বলেন, আজকে আমাদের প্রবেশপত্র দেওয়ার কথা ছিল। আমি স্কুলে এসে প্রবেশপত্র হাতে পেয়ে দেখি আমার প্রবেশপত্রে আমার ছবি নাই।সেখানে রয়েছে অন্য আরেকজনের ছবি। আমি এই প্রবেশপত্র নিয়ে কিভাবে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করব।

নুর জামান ইসলাম নামে আরেক পরীক্ষার্থী বলেন,জন্ম নিবন্ধনসহ ও আমার যাবতীয় কাগজপত্র আমার মায়ের নাম রয়েছে মমেনা বেগম। কিন্তু আজকে প্রবেশপত্র হাতে পেয়ে দেখি আমার মায়ের নাম হয়েছে মমবানা বেগম। স্যারকে ভুলের কথা বললে তিনি বলেন এগুলা‌ কোনো ভুল হইলো?

নাঈম ইসলাম নামে আরেক পরীক্ষার্থী বলেন, আমার জন্ম তারিখ ১২ আগষ্ট ২০০৮ সাল। কিন্তু আমার দাখিল পরীক্ষার প্রবেশপত্র জন্ম‌ তারিখ দেওয়া হয়েছে ১০ আগষ্ট ২০০৮ সাল। প্রবেশপত্রে ভুলে ভর্তি। পরবর্তীতে এগুলো সংশোধন আমাদের জন্য অনেক কষ্টকর। আমরা অতি দ্রুত প্রবেশপত্র সংশোধন চাই।

অভিযোগের বিষয়ে কানিয়াল খাতা দ্বি-মূখী দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. সাবেদ আলী বলেন,’শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো মাদ্রাসায় না আসায় কিছু ভুল হয়েছে। এগুলো খুব বড় ভুল নয়। এগুলো সংশোধন করার জন্য বোর্ডের দরজা সব সময় খোলা আছে।

এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান বলেন, আমাদের তরফ থেকে ঈদ উল ফিতরের আগেই প্রবেশ পত্র শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যাতে করে কোনো‌ ভুল পরিলক্ষিত হলে তা সংশোধন করা যায়। দাখিল এ ধরনের ভুলের দায়ভার সম্পূর্ণ প্রতিষ্ঠান প্রধানের।’

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান বলেন,’এ বিষয়ে এডিসি শিক্ষাকর্মকর্তাকে এতগুলো প্রবেশপত্র ভুলগুলো দ্রুত সংশোধন করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছি।’