নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার ডোমার অন্তর্ভুক্ত গোঁসাইগঞ্জ বন বিভাগের গাছ কেটে বন উজাড় করা হলেও বন বিভাগের নিরব হয়ে রয়েছে। গত ৪-৫ দিনে রাতের আঁধারে প্রায় পাঁচ শতাধিক ছোটবড় গাছ কেটে আবাদি জমি তৈরি করে জমি দখলের মহা উৎসবে নেমেছে ভূমি দস্যুরা।
রাতের আঁধারে গাছ কাটা হচ্ছে আর দিনের বেলা বন বিভাগের সেই জমি কে আবাদি জমিতে পরিণত করে জমি দখল করা করছে। বনের গাছ চুরি হলেও কোন কিছুই জানেনা বন বিভাগ। সরজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় বনের কিছু গাছ রাতের আঁধারে দল বেঁধে কাটা হচ্ছে। বনের গাছ কেন কাটা হচ্ছে জানতে চাইলে নাম না প্রকাশ শর্তে একজন বলেন, এগুলো তাদের জমি বন বিভাগ অবৈধভাবে দখল করেছে এই জন্যই তারা এখন গাছ কেটে সেটি আবাদি জমিতে পরিণত করছেন । বন বিভাগের অপর দিকে পাবনা পাড়ার পার্শ্ববর্তী নদীর পাশের বনের উঁচু মাটি কেটে বালু উত্তোলন করে ব্যাবসা করছে ববালুখেকোরা।
একদিকে গাছ চুরি অন্যদিকে চলছে বালু উত্তোলন,এই উৎসবে মেতে উঠেছে স্থানীয় বালুখেকো ব্যবসায়ীসহ ভূমিদস্যূরা। সংশ্লিষ্ট বন বিভাগের প্রহরীর কক্ষে গেলে সে কক্ষ বন্ধ পাওয়া যায়। বনের আশেপাশে কোথাও বন রক্ষার প্রহরীদের খুঁজে পাওয়া যায়নি। বন উজারের ঘটনায় ভোগডাবুড়ি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও ডোমার উপজেলা বিএনপির সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম কালু বলেন, বন উজারের ঘটনায় এর আগেও মামলা হয়েছে, তারা জামিনে বের হয়ে আবারো বন উজার করতেছে। আমি সেখানে রাতে গ্রাম পুলিশকে পাঠিয়ে দিয়েছি।বনের নিরাপত্তার স্বার্থে বন পাহারা জরুরি এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে । ডোমার বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল হাই বলেন, এর আগে বনদস্যুরা অবৈধভাবে বনের গাছ কাটায় আমরা তাদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের করেছি।
নতুন করে আবারো গাছ কাটা হচ্ছে সেই বিষয়ে আমাকে কেউ অবগত করেনি। আমি বিট অফিসার কে বলেছি তারা দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছে। ডোমার উপজেলা নির্বাহী অফিসার সায়লা সাঈদ তন্বী বলেন, তদন্তসাপেক্ষে আমরা দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবো। এই ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।