আজ ৩রা জুলাই বৃহস্পতিবার, ঠিক বিকেল সাড়ে চারটায়, কলকাতার ইসকন মন্দির ও মেলা পরিদর্শন করেলেন। সারাদিন বৃষ্টির মধ্যে একদিকে যেমন ভক্তদের সমাগম ও
অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মেলাতে প্রবেশ করায় , মেলার চতুর্দিকে আঁটো আঁটো ভাব, জগন্নাথ মন্দিরের মুখ থেকে গেট পর্যন্ত রাস্তার অর্ধেকটা ব্যারিকেড দিয়ে দেওয়া হয়, শুধু তাই নয়, মেলার মেন গেটের সামনে থেকে সারা মেলা ও ব্যারিকেড শেষ পর্যন্ত উচ্চ পদস্থ অফিসাররেরা এবং কর্তব্যরত পুলিশ ভলেন্টিয়াররা ঘেরে রয়েছেন , আর আজকে যে সকল দর্শনার্থী ও ভক্তরা মেলায় আসছেন এবং প্রবেশ করছেন, মুখ্যমন্ত্রী আসার কারণে সমস্ত মানুষের ব্যাগ চেক করা হচ্ছে। ফলে কিছু কিছু পূর্ণাথীরা বলেন এটা আবার কবে চালু হলো, আমি প্রথম দেখলাম।
মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই বছর দীঘায় যেহেতু জগন্নাথ দেবের মন্দিরের শুভ সূচনা হয়েছে এবং এই প্রথম রাতে শুভ সূচনা হলো তাই আমি ইসকনের রথযাত্রার উদ্বোধনে আসতে পারিনি, আমি কথা দিয়েছিলাম আজ এই মেলায় যাব, আর এসে এত ভালো লাগছে এত সুন্দর একটি মন্দির তৈরি করা হয়েছে পুরীর আদলে আমি অভিভূত, সকল ইসকনের কর্মকর্তা ও ভক্তদের আমি শুভেচ্ছা জানাই, সবাই একবার দিঘার মন্দির পরিদর্শন করুন, আর বৃষ্টির মধ্যে ভক্তদের সমাগম দেখে আমি অভিভূত।
কয়েকদিন যাবত টানা বৃষ্টি হলেও, এতোটুকু কমেনি জগন্নাথ দেবের পরিদর্শন ভক্তদের ও দর্শনার্থীদের। বৃষ্টির মধ্যেও বিভিন্ন দেশ থেকে ভক্তরা আসছেন এবং জগন্নাথ দেবকে দর্শন করছেন, জগন্নাথের জয়ধ্বনি দিচ্ছেন, চলছে ভোগ বিতরণ, দর্শনার্থীরা সারিবদ্ধ ভাবে লাইন দিয়ে জগন্নাথ দেবের প্রসাদ গ্রহণ করছেন, শুধু তাই নয় বহু দর্শনার্থী পরিবারের মানুষদের জন্য কুপন দিয়ে ভোগ প্রসাদ নিয়ে যাচ্ছেন। সাথে সাথে চলছে বিভিন্ন জায়গায় ভক্তদের জয়ধ্বনি, নৃত্য, তার সাথে সাথে মেলার চতুর্দিকে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী দিয়ে সাজানোর স্টল। এবং স্টল গুলিতে চোখে পড়ার মত ভিড়।
আর মাত্র দুই দিন চলবে এই জগন্নাথের মেলা, তারপরেই পুনরায় এখান থেকে জগন্নাথ বলরাম সুভদ্রা ফিরে যাবেন। নিজের গৃহে।
রিপোর্টার , সমরেশ রায় ও শম্পা দাস , কলকাতা পশ্চিমবঙ্গ