নিজস্ব প্রতিবেদক।। কক্সবাজারের টেকনাফে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি অভিযান চালিয়ে ২৮ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা টাকা মূল্যমানের ২৯.১৫ কেজি বিভিন্ন প্রকার স্বর্ণালংকার ও বাংলাদেশী নগদ ২৬ হাজার ১০ টাকা জব্দ করেছে। এসময় মিয়ানমারের দুইজন নাগরিককে আটক করেছে।
আটককৃত আসামিরা হলেন, উখিয়া ১৩ নং কুতুপালং এফডিএমএন ক্যাম্পে লিয়াকত আলী পুত্র ইয়াহিয়া খান (৪৫), অপর জন মিয়ানমার নাগরিক গ্রাম-সুইজা, মংডুর মৃত মীর আহমেদ এর ছেলে আনোয়ার সাদেক (৪০)।
টেকনাফ ২ বিজিবি’র অধিনায়ক লে: কর্নেল মোঃ মহিউদ্দীন আহমেদ জানান, শনিবার (১০ আগস্ট) ২ বিজিবি অভিযান চালিয়ে দুইজন আসামীসহ ২৮ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা মূল্যমানের ২৯.১৫ কেজি বিভিন্ন প্রকার স্বর্ণালংকার এবং বাংলাদেশী নগদ ২৬ হাজার ১০ টাকা জব্দ করেছে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার হ্নীলা বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-১৩ হতে আনুমানিক ১০০ মিটার উত্তর দিকে উত্তর ফুলের ডেইল নামক গ্রামে মিয়ানমার হতে বাংলাদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে চোরাকারবারিরা স্বর্ণের একটি বড় চালান একটি বাড়ীতে লুকায়িত রেখেছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গভীর রাতে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন সদরের চোরাচালান প্রতিরোধ টহলদল দ্রুত উত্তর ফুলের ডেইল এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতিতে ঘেরাও করে তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করে। কিন্তু বিজিবি’র উপস্থিতি টের পেয়ে উক্ত বাড়ীতে অবস্থানরত সন্দেহভাজন দুইজন ব্যক্তি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বিজিবি টহলদল উক্ত চোরাকারবারিদের দুইটি ব্যাগসহ আটক করতে সক্ষম হয়। আটককৃত ব্যাগের ভিতর হতে ২৯.১৫ কেজি বিভিন্ন প্রকার স্বর্ণালংকার এবং বাংলাদেশী নগদ ২৬ হাজার ১০ টাকা জব্দ করা হয়।
উক্ত চোরাকারবারিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, বাংলাদেশে এফডিএমএন ক্যাম্পে অবস্থানরত ইয়াহিয়া খান মিয়ানমারের মংডু হতে মিয়ানমার নাগরিক আনোয়ার সাদেকের সহযোগিতায় উল্লেখিত স্বর্ণালংকার বাংলাদেশে পাচারের মাধ্যমে বিক্রি করার উদ্দেশ্যে মিয়ানমার হতে বাংলাদেশে নিয়ে আসে।
তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃত স্বর্ণালংকার এবং বাংলাদেশী টাকা কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় (ট্রেজারি শাখায়) জমা রাখা হয়েছে। আটককৃত ২ জন আসামীর বিরুদ্ধে সরকারী কর/শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে স্বর্ণ চোরাচালানের দায়ে নিয়মিত মামলার মাধ্যমে টেকনাফ মডেল থানায় সোপর্দ করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।