কে এম সোহেব জুয়েল ঃ মাদক ব্যাবসার ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে যুবদল নেতা ও তার সহযোগী লোকজনের হামলার স্বীকার হয়ে সুলতান হাওলাদার ৬৫ নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যুর হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ওই বৃদ্ধের মৃত্যুদেহ গতকাল সোমবার ১২ আগষ্ট পোষ্টমার্টাম শেষে শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে থেকে নিয়ে এসে নিজ বাড়িতে দাফন করা হয়েছে বলে পরিবার সুত্রে যানা গেছে।
১১ আগষ্ট রবিবার বেলা পৌনে ১২ টার দিকে বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশা ইউনিয়নের ঘটক চর গ্রামে এমন ঘটনা ঘটে। স্হানীয় সুত্রে জানাগেছে নিহতের ছেলে মনিরুজ্জামান জুয়েল অসৎ সঙ্গের সাথে জড়িয়ে পরে মাদক ব্যাবসায় ধাবিত হয়ে পরেন। ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনার পতনের পর রবিবার ১১ আগষ্ট বেলা পৌনে ১২ দিকে জুয়েলের কাছে মাদক ব্যাবসার ভাগ চাইতে বাড়িতে যান বকশির চর গ্রামের সেকান্দার ডাক্তারের ছেলে উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব ওবায়দুল ও তার সহযোগি হাকিম মাষ্টারের তিন ছেলে সোহেল, জুয়েল,মনির ও রহমান শিকদারের পুত্র আলামিন সহ বেশ কয়েক জন। এ নিযে জুয়েলের বৃদ্ধ বাবা সুলতান হাওলাদারের সাথে কথা কাটাকাটি হয় এবায়দুল ও তার সহযোগীদের। কথা কাটাকাটি এক পর্যায় জুয়েলের বৃদ্ধ বাবাকে মারধর করে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দিলে ঘটনা স্হানেই বৃদ্ধের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন বৃদ্ধের পরিবারের লোকজন।
অপর দিকে নিহতের ছেলে মনিরুজ্জামান জুয়েলের স্ত্রী সাদিয়া আফরিন জানান, তার স্বামী অনেক আগেই মাদকের ব্যাবসা ছেড়ে দিয়ে ইজিবাইক চালিয়ে সংসার চালাতে চেষ্টা করলেও কিন্তু তার পিছু ছারচেননা যুবদল নেতা ও তার সহযোগীরা। তাকে দিয়ে মাদক ব্যাবসা করানোর অপচেষ্টায় তার পিছু লেগেই আছেন তারা। এতে রাজি না হলে জুয়েলের ব্যাটারি চালিত ইজিবাইকে ইয়াবা রেখে পুলিশের হাতে ধরি দেয় তারা।
তিনি আরো বলেন, গত ৫ আগষ্ট শেখহাসিনা সরকার পতনের পর পুনরায় জুয়েলকে দিয়ে মাদক ব্যাবসা চালানোর জন্য মরিয়া উঠেন এবায়দুল ও তার সহযোগিরা তারি ধারাবাহিকতা ১১ আগষ্ট রবিবার বেলা ১১ দিকে তার (জুয়েলের) বাড়িতে আসেন তারা। এ নিয়ে জুয়েলের বাবা সুলতান হাওলাদারের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পরে এবায়দুল ও তার সহযোগিরা বৃদ্ধ সুলতানকে মারধর করে মাটিতে ধাক্কা দিয়ে ফেলিয়ে দেয় এ ঘটনায় বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন জুয়েলের স্ত্রী সাদিয়া সহ তার পরিবারের লোকজন। এ ঘটনায় বরিশাল বিমান বন্দর থানায় হত্যা মামলার প্রস্হতির কথা জানিয়েছেন নিহতের পুত্র জুয়েল।