‘দেশের অন্যান্য সেক্টরের মতো অনেক মিডিয়াতেও স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার দালালরা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এখনও স্বৈরাচারের ওই দোসররা বহাল তবিয়তে রয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে মিডিয়ায় নারীর অংশগ্ৰহণ বাড়াতে হবে।’
শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘অন্তর্বর্তী সরকার : নারী সাংবাদিকদের ভূমিকা ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন বক্তারা। বৈঠকের আয়োজন করে বাংলাদেশ উইমেন জার্নালিস্ট ফোরাম।
সংগঠনের সভাপতি রোজী ফেরদৌসীর সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজের (একাংশ) সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজের (একাংশ) সভাপতি শহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক খুরশিদ আলম এবং সাংবাদিক মাহমুদা চৌধুরী প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে নারী শিক্ষার্থীরা অগ্ৰভাগে ছিলেন। তারা পুরুষের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এ দেশের সব আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তবুও নারীর কাঙ্ক্ষিত মুক্তি অর্জিত হয়নি। মিডিয়ায়ও নারীর অংশগ্রহণ অনেক কম। বর্তমান তরুণ প্রজন্ম শিক্ষার্থীরাও মিডিয়া নিয়ে অনেক আগ্ৰহী। তাই তাদেরকে কাজের সুযোগ করে দিতে হবে। তাছাড়া সব মিডিয়ায় অবিলম্বে নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন করতে হবে।
বিএফইউজের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী বলেন, ‘আজকে গণঅভ্যুত্থানের প্রথম জাগরণ তৈরি করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের নারী শিক্ষার্থীরা। পরে সেখানে অন্যান্য হলের শিক্ষার্থীরা যোগ দেয়। সাংবাদিকতায়ও নারীদের বিশাল অবদান রয়েছে। পরিবর্তিত বাংলাদেশে নারী পুরুষ মিলে দেশ গড়তে হবে। মানবিক বাংলাদেশ নেই বলে আজকে নারীরা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে। চলমান আন্দোলনে অসংখ্য শিশু ও নারীকে হত্যা করা হয়েছে। এসব থেকে নারীকে রক্ষা করতে এবং মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে খুনি হাসিনার বিচার করতে হবে।’
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় রুহুল আমিন গাজী বলেন, ‘ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে এদেশের পুরুষের পাশাপাশি নারীরা যে ত্যাগ শিকার করেছে, তা নজিরবিহীন। এই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে একটি মানবিক বাংলাদেশ গড়তে পারলে সব শ্রেণির মানুষের আকাঙ্ক্ষা ও অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে। সাংবাদিক জগতে স্বৈরাচারের দোসররা এখনও বিভিন্ন স্থানে রয়ে গেছে। এখনও এসব পত্রপত্রিকা স্বৈরাচারের দোসরমুক্ত করতে পারিনি। সেটা আমরা চেষ্টা করছি। নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যাশায় আমরা এগিয়ে যাব।’