বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আশুলিয়ায় গুলি করে হত্যার পর লাশ পোড়ানোর ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৬৯ জনের বিরুদ্ধে আরও দুটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
নিহত আস-সাবুরের ভাই এবং সজলের মায়ের পক্ষে বুধবার আইনজীবী হুজ্জাতুল ইসলাম খান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় এ অভিযোগ দাখিল করেন।
আবেদনে আসামিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ নিয়ে ট্রাইব্যুনালে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১৫টি ও মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে গণহত্যার একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এসব অভিযোগ একসঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে তদন্ত সংস্থা।
অভিযোগে বলা হয়, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর অনুমানিক বিকাল চারটা থেকে সাড়ে চারটার দিকে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার সব পুলিশ সদস্য এবং ঢাকা ডিবি উত্তরের সদস্যরা অর্থাৎ ২২ থেকে ৩০নং আসামিরা ১-৭নং আসামিদের নির্দেশে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতাদের সমূলে বা আংশিক নির্মূল করার হীন উদ্দেশ্যে বিজয় উল্লাসরত ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি চালায়। আস-সাবুর, আবদুল মান্নান, মিজানুর রহমান, তানজিল মাহমুদ সুজয়, সাজ্জাদ হোসেন সজল এবং বায়েজিদকে হত্যা করে এবং আশুলিয়া থানার সামনেই পুলিশ ভ্যানে নিহতদের লাশ পুড়িয়ে দেয়।
অপরাধের ধরনে বলা হয়েছে, ১ থেকে ৭নং আসামিদের নির্দেশে ও পরিকল্পনায় অন্যান্য আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী সাধারণ নিরস্ত্র ছাত্র-জনতাকে হত্যা করে তাদের লাশ আগুনে পুড়িয়ে ফেলে তাদের সমূলে বা আংশিক নির্মূল করার উদ্দেশ্য গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অপরাধ।
শেখ হাসিনা ছাড়া উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- সাবেক সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, ঢাকা জেলার তৎকালীন এসপি মারুফ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ হিল কাফীসহ ৬৯ জন।